তার পতিব্রতে প্রসন্ন হয়ে নারদ মুনি কৃষ্ণকে ফিরিয়ে দিতে শেষমেশ রাজি হলেন।কিন্তু শর্ত ছিলো ,, কৃষ্ণের সমপরিমাণ ওজনের ঐশ্বর্য তাকে দান করতে হবে। কোনো উপায় না পেয়ে সত্যভামাদেবী ধীরেধীরে তার সমস্ত অলংকার আনতে শুরু করলেন।এক পাল্লায় কৃষ্ণকে বসিয়ে অপর পাল্লায় স্বর্ণালংকার রাখতে শুরু করলেন।কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে কোনো ভাবেই অপর পাল্লা কৃষ্ণের সমান করা যাচ্ছিল না।শেষমেশ বাধ্য হয়ে সত্যভামা তার দেহের সমস্ত অলংকার পর্যন্ত খুলে দিতে লাগলেন।
হায় !! হায় !! আর বুঝি প্রিয় কৃষ্ণকে ফিরে পাওয়া হল না আমার !! এই ভেবে পতি বিরহে হু হু করে কান্না করতে লাগলেন সত্যভামা।
সত্যভামা ভুলে গিয়েছিলেন যে ,, হাজার হাজার বছর তপস্যা করেও যাকে লাভ করা যায় না ,, তাকে এই নশ্বর ঐশ্বর্য দ্বারা কিভাবে লাভ করা সম্ভব।
যাই হউক ,,শেষমেশ ভগবানের করুণায় রুক্মিণীদেবী শ্রী -কৃষ্ণকে জয় করার মহাকৌশল শিখিয়ে দিলেন সত্যভামা দেবীকে।রুক্মিণীদেবীর কথামত শুদ্ধ প্রেম-ভক্তি সহকারে যেইমাত্র একটি তুলসীপত্র রাখলেন সেই পাল্লার ওপর আর সাথে সাথে শ্রী- কৃষ্ণের পাল্লা উপরে উঠে গেলো এবং অপর পাল্লা নিচে নেমে গেলো।শেষ পর্যন্ত ভক্তের ভালবাসার কাছে ভগবান এভাবেই নিজেকে ধরা দিলেন।এবং নারদ মুনি প্রসন্ন হয়ে ফিরে গেলেন।
"জয় শ্রীকৃষ্ণ"
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন